জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ৪০ কোটি টাকা গায়েব: আঙুল উঠছে সারজিস আলমের দিকে


 **জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ৪০ কোটি টাকা গায়েব: আঙুল উঠছে সারজিস আলমের দিকে**  


জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন, যা দেশের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের সহায়তায় কাজ করে, সম্প্রতি ৪০ কোটি টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনায় আলোচনায় এসেছে। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।  


### **অর্থের উৎস ও অভিযোগের বিবরণ**  

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তহবিল মূলত সরকার ও বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর অনুদান থেকে আসে। অভিযোগ উঠেছে, সংগঠনের আর্থিক তদারকির অভাবে এবং অনিয়মিত আর্থিক নথি ব্যবস্থাপনার কারণে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিস মিলছে না। বেশ কিছু শহীদ পরিবার অভিযোগ করেছে, ফাউন্ডেশনের থেকে প্রতিশ্রুত সহায়তা তারা পাননি।  


### **সারজিস আলমের নাম কেন সামনে আসছে?**  

সারজিস আলম, যিনি ২০২৪ সালের শেষ দিকে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তার বিরুদ্ধে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা দাবি করছেন, তার নেতৃত্বে কিছু আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা ছিল না।  


সূত্র জানিয়েছে, তার দায়িত্বকালে বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের আর্থিক বরাদ্দের কোনো সঠিক নথিপত্র নেই। ফাউন্ডেশনের কিছু অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, সারজিস আলম এবং তার ঘনিষ্ঠ একটি চক্র তহবিলের অর্থ অসদুপায় ব্যবহার করেছেন।  


### **সারজিস আলমের প্রতিক্রিয়া**  

এই অভিযোগ সম্পর্কে সারজিস আলম জানিয়েছেন, "এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমার সময়ে কোনো আর্থিক অনিয়ম হয়নি। বরং আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করেছি। যারা অভিযোগ তুলছে, তাদের উচিত সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসা।"  


### **অডিট প্রতিবেদনের অভাব**  

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অডিট রিপোর্ট গত দুই বছর ধরে প্রকাশিত হয়নি। ফাউন্ডেশনের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বলছে, "আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং দ্রুতই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।"  


### **সরকারি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা**  

এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "ফাউন্ডেশনের আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"  


### **শহীদ পরিবারদের প্রতিক্রিয়া**  

এই ঘটনার পর শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, "যারা আমাদের অধিকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।"  


### **উপসংহার**  

৪০ কোটি টাকা গায়েবের এই ঘটনা শুধু ফাউন্ডেশনের সুনাম নষ্ট করছে না, এটি দেশের মানবিক উন্নয়ন কার্যক্রমের উপরও প্রশ্ন তুলছে। সারজিস আলম এই অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারবেন কিনা, তা নির্ভর করবে সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রমাণের ওপর।  


(প্রতিবেদনটি সমসাময়িক তথ্য ও সূত্রের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।)  

Post a Comment

Previous Post Next Post