সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ এবং ড. ইউনূসের ব্যর্থতা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড়

 **শিরোনাম:**  

সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ এবং ড. ইউনূসের ব্যর্থতা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড়  


**ভূমিকা:**  

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার পর সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণে। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক চাপ, এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে এ পরিবর্তন ঘটে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ এবং ড. ইউনূসের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে।


**ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার:**  

ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি বিশ্বজুড়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত, তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সমাধানে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে তার সরকার কয়েকটি প্রধান ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়:  

1. **অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থতা:** ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি, এবং কর্মসংস্থানের অভাবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।  

2. **গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা:** রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় ইউনূসের প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।  

3. **নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনা:** অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও নির্বাচন পূর্বপ্রস্তুতিতে বিভিন্ন দুর্বলতা দেখা যায়।  


**সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ:**  

ড. ইউনূসের সরকার ব্যর্থতার কারণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গুরুতরভাবে অবনতি ঘটায়। রাজনৈতিক সহিংসতা, বিক্ষোভ, এবং জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে।  


সেনাবাহিনীর যুক্তি ছিল:  

1. **দেশকে অরাজকতার হাত থেকে রক্ষা করা।**  

2. **জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।**  

3. **গণতান্ত্রিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।**  


**রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:**  

সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একদিকে, কিছু দল এ পদক্ষেপকে দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছে, অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো একে গণতান্ত্রিক শাসনের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।  


**চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ:**  

সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনী যদি দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদী সামরিক শাসনের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।  


**উপসংহার:**  

ড. ইউনূসের সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, যা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পথ তৈরি করেছে। তবে, এ পরিবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে এ সংকট সমাধান করতে হবে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনাই নতুন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।  

Post a Comment

Previous Post Next Post