**শাহবাগে সংঘর্ষ: তিন শিক্ষক নিহত, গুরুতর আহত ৭২**

 


**শাহবাগে সংঘর্ষ: তিন শিক্ষক নিহত, গুরুতর আহত ৭২**  


রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ রক্তাক্ত রূপ নিয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে তিন শিক্ষক নিহত এবং অন্তত ৭২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।  


### **বিক্ষোভের পটভূমি**  

সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট ছয় দফা দাবিতে পদযাত্রার ঘোষণা দেয়। তাদের প্রধান দাবি ছিল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।  


### **সংঘর্ষের সূত্রপাত**  

পুলিশের বাধা অমান্য করে শিক্ষকরা সামনে অগ্রসর হতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে জলকামান এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে, পরে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।  


### **নিহত ও আহতদের পরিস্থিতি**  

সংঘর্ষে তিনজন শিক্ষক প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন রাজশাহীর শিক্ষিকা রোখসানা বেগম এবং খুলনার শিক্ষক আব্দুল করিম। আহত ৭২ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

নিহত এবং আহতদের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন 

### **পুলিশ ও শিক্ষকদের অবস্থান**  

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, "শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালাতে গেলে ব্যবস্থা নিতে হয়।"  


অন্যদিকে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। তারা এই ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করে বিচার দাবি করেছেন।  


### **পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে**  

সংঘর্ষের পর শাহবাগ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।  


### **শিক্ষকদের দাবি**  

শিক্ষকরা তাদের ছয় দফা দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলছেন, "ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত।"  


### **প্রতিক্রিয়া**  

এই ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।  


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post