**‘মানবিক করিডোর’ প্রস্তাবে ড. ইউনুসকে প্রত্যাখ্যান, গ্রেপ্তার প্রস্তুতিতে সেনাবাহিনী**
**ডিএম নিউজ ডেস্ক | ৪ মে ২০২৫**
বাংলাদেশে আলোচিত ‘মানবিক করিডোর’ প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের উদ্যোগকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের সামরিক বাহিনী। এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতির খবর মিলেছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সূত্রে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক মানবিক সংকট মোকাবেলায় ড. ইউনুস এক প্রকার বিকল্প ‘মানবিক করিডোর’ গঠনের প্রস্তাব দেন, যার আওতায় সীমান্ত অতিক্রম করে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়। এই করিডোরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন, যার মধ্যে জাতিসংঘ ও কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্রের উপস্থিতির বিষয়টি উঠে আসে।
**সেনাবাহিনীর আপত্তি ও প্রতিক্রিয়া**
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রস্তাব দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা একে “রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করার ষড়যন্ত্র” বলে উল্লেখ করেছে।
আজ সেনাবাহিনীর প্রধান দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সেনাপ্রধান নিজে। সূত্র জানায়, বৈঠকে ড. ইউনুসকে “রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত” আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
**গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি**
বিশ্বস্ত সূত্র মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট ইতোমধ্যে ড. ইউনুসের ঢাকার বাসভবন ও অফিস পর্যবেক্ষণে রেখেছে। গ্রেপ্তারের জন্য একটি বিশেষ দল প্রস্তুত রয়েছে, যা যে কোনো সময় অভিযান চালাতে পারে।
**ড. ইউনুসের প্রতিক্রিয়া**
এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেননি ড. ইউনুস। তবে তার ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তিনি তার প্রস্তাবকে নিছক “মানবিক ও অরাজনৈতিক” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
**জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া**
এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের একটি দপ্তর থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার কথা জানানো হয়েছে।
---
**সংবিধান, গণতন্ত্র এবং মানবিকতার প্রশ্নে এখন জাতীয় পর্যায়ে কঠিন এক সঙ্কটে পড়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতির কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক ঘণ্টার ঘটনাপ্রবাহের ওপর।**
---