**ভারতে ১৭০টি মাদ্রাসা বন্ধ: গাজওয়াতুল হিন্দ বিতর্কে উত্তেজনা**
**নিজস্ব প্রতিবেদক**
**ঢাকা | ১৫ এপ্রিল ২০২৫**
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে সম্প্রতি অন্তত ১৭০টি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার দাবি করেছে, এই মাদ্রাসাগুলোর বেশিরভাগই নিবন্ধনবিহীন এবং শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। এই পদক্ষেপকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি 'ঐতিহাসিক' বলে অভিহিত করেছেন। citeturn0search0
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি এই অভিযোগকে 'সংখ্যালঘু তোষণ' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। citeturn0search2
এদিকে, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা 'গাজওয়াতুল হিন্দ' সম্পর্কিত একটি ফতোয়া জারি করেছে, যা নিয়ে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কমিশনটি এই ফতোয়াকে 'দেশবিরোধী' বলে অভিহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। citeturn0search11
এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ও বক্তব্য মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণার অংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি ভারতের ধর্মীয় সহাবস্থান ও সামাজিক সম্প্রীতির জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। তাদের মতে, সরকারকে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল।
এই ঘটনার প্রভাব বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতেও পড়তে পারে। বিশেষ করে, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভারতের সরকারের কাছে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

