**ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজ ইস্যুতে সমন্বয়কসহ দুইজন সচিবালয়ে আটক**
আজ, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, সাত কলেজের চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমকে সচিবালয়ে আটকে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি এবং সমস্যাগুলো উপেক্ষা করেছেন।
### **ঘটনার বিবরণ:**
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
1. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার কোটা পদ্ধতি বাতিল।
2. শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত ভর্তি বন্ধ।
3. পরীক্ষা পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা এবং নেগেটিভ মার্কিং প্রবর্তন।
4. সেশনজট দূরীকরণ।
আজ দুপুরে শিক্ষার্থীরা সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সচিবালয়ে জড়ো হন। অভিযোগ রয়েছে, আলোচনার সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণ করা হলে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং দুই কর্মকর্তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখেন।
### **শিক্ষার্থীদের বক্তব্য:**
সাত কলেজ আন্দোলনের এক নেত্রী বলেন,
*"আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি। তাদের এই অবহেলার কারণেই আমরা তাদের আটক রেখেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না।"*
### **প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:**
সচিবালয়ে উপস্থিত পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপ চালানোর চেষ্টা করছে।
### **উপাচার্যের আহ্বান:**
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,
*"এই সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। সহিংসতা বা জোর করে আটকে রাখার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব নয়।"*
### **পরিস্থিতি উত্তপ্ত:**
সচিবালয়ের আশপাশে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
**সর্বশেষ খবর পেতে সঙ্গে থাকুন।**