**যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ: যৌথবাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর মারধরের চিহ্ন**
কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন।
### **উঠিয়ে নেওয়া ও মৃত্যুর ঘটনা**
পরিবারের দাবি, ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন যৌথবাহিনীর পরিচয়ে তৌহিদুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ জানায়, তিনি গোমতী নদীর পাড়ে আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
### **পরিবার ও স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া**
নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘রাত আড়াইটার দিকে ভাইকে তুলে নেওয়ার পর সকালে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে দলটি এবং এক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায়। পরে ভাইকে আবারও নিয়ে যায়। দুপুরে পুলিশ জানায়, সে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, সে আর নেই।’’
তৌহিদুলের শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিবার ও কুমিল্লা যুবদলের নেতারা।
### **পুলিশ ও চিকিৎসকের বক্তব্য**
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘গোমতী নদীর পাড় থেকে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তানভির আহমেদ জানান, তৌহিদুলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
### **যৌথবাহিনীর কোনো মন্তব্য নেই**
এ ঘটনায় যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।