### **কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ১৩, আহত ৬৫**
**কক্সবাজার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:** কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত এবং অন্তত ৬৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সমিতি পাড়ায় অবস্থিত বিমান বাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
### **হামলার বিবরণ**
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ঘাঁটির আশপাশে জড়ো হয়। কিছুক্ষণ পরই তারা গুলি ছোড়া শুরু করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলার সময় কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।
বিমান বাহিনী দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ৫ জন মারা যান। আহত ৬৫ জনের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সম্পুর্ন ঘটনার ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন....
### **প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া**
ঘটনার পরপরই কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘‘এটি একটি পরিকল্পিত হামলা বলে মনে হচ্ছে। কারা এর পেছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আমরা আমাদের ঘাঁটি ও সদস্যদের রক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
### **সন্দেহভাজন হামলাকারীদের পরিচয়**
হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
### **আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা**
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও সামরিক হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। সেনাবাহিনী ও র্যাব পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
### **সরকারের প্রতিক্রিয়া**
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’’
### **পরবর্তী পদক্ষেপ**
বর্তমানে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং হামলার কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে।
এই হামলা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন সবার দৃষ্টিতে।
**(বিস্তারিত তথ্য আসছে...)**