**সেনাপ্রধান পেয়েছেন নতুন সিগন্যাল: ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা?**


 ### **সেনাপ্রধান পেয়েছেন নতুন সিগন্যাল: ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা?**  


**নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫**  


বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক অস্থির সময় পার করার পর আবারও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক তৎপরতা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, **বাইডেন প্রশাসনের চাপে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ঘটলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপে তাকে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।**  


### **বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা: শেখ হাসিনার বিদায়**  


২০২৪ সালের প্রথমার্ধ থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের **বাইডেন প্রশাসন** গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে শেখ হাসিনা সরকারের ওপর চাপ বাড়ায়।  


- ২০২৩ সালের শেষের দিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়।  

- জানুয়ারি ২০২৪-এ বাংলাদেশে **গণবিক্ষোভ ও সেনাবাহিনীর নীরব অবস্থান** রাজনৈতিক পরিবর্তনের বার্তা দেয়।  

- **৫ আগস্ট ২০২৪**, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং **একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়**।  


তৎকালীন সেনাপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে তখন থেকেই নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল।  


### **নতুন সমীকরণ: ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য কৌশল**  


২০২৪ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে **ডোনাল্ড ট্রাম্প** দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি সাধারণত গণতন্ত্রের পরিবর্তে কৌশলগত ও বাণিজ্যিক স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। ফলে, অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন **ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।**  


**বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে:**  


1. **বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা**, যা তাদের বাণিজ্যিক ও কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করবে।  

2. ভারত, চীন ও রাশিয়ার প্রভাব মোকাবিলা করতে বাংলাদেশে **একটি অনুগত সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা** করা।  

3. সামরিক বাহিনীর সহযোগিতায় **শেখ হাসিনাকে একটি সমঝোতামূলক ফর্মুলায় ফেরানো**।  


### **সেনাপ্রধানের সিগন্যাল পাওয়া এবং সাম্প্রতিক তৎপরতা**  


সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধানের কিছু বক্তব্য এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ মুভমেন্ট এই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।  


- **গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন**, যেখানে কূটনৈতিক মহলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।  

- **বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক সফর এবং ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা** শেখ হাসিনার ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।  

- সেনাবাহিনীর কিছু অংশের মধ্যে **শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসলে কীভাবে সামরিক অবস্থান বজায় রাখা হবে**, তা নিয়েও অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।  


### **নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ কী হতে পারে?**  


যদি শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে **এটি কোনো সরাসরি নির্বাচন নয়, বরং একটি চুক্তিভিত্তিক সমঝোতার মাধ্যমে হতে পারে**।  


- অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে তাকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।  

- সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় একটি **জাতীয় ঐক্যের সরকার** গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।  

- শেখ হাসিনা **নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং বিশেষ সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারেন**।  


### **শেষ কথা**  


বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত সংবেদনশীল অবস্থায় রয়েছে। সেনাপ্রধান সত্যিই কোনো **"সিগন্যাল"** পেয়েছেন কিনা, সেটি নিশ্চিত না হলেও, **ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পররাষ্ট্রনীতির কারণে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আবার আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে**। সামনের দিনগুলোতে এই পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post