ক্যান্টনমেন্টে উত্তেজনা: সেনাবাহিনীর ভেতর বিভক্তি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমতা নেওয়ার গুঞ্জন

 ### **ক্যান্টনমেন্টে উত্তেজনা: সেনাবাহিনীর ভেতর বিভক্তি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমতা নেওয়ার গুঞ্জন**  


**অনলাইন ডেস্ক | ৩ মার্চ ২০২৫**  


দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনীর ভেতরে চরম মতবিরোধ দেখা দিয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা। কিছু সেনা কর্মকর্তা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার পক্ষে থাকলেও, অন্য একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী এর তীব্র বিরোধিতা করছে। এ দ্বন্দ্বের ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে গোলাগুলির খবর ছড়িয়ে পড়েছে।  


### **কেন এই উত্তেজনা?**  

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর একাংশ ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। এক পক্ষ মনে করছে, তাঁর ফিরে আসা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে, অন্য পক্ষ এটিকে সামরিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।  


এর মধ্যে কিছু সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ছাত্র নামধারী উগ্রবাদী একটি গোষ্ঠীর মতাদর্শ অনুসরণ করছে এবং শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন প্রতিহত করতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। সেনাবাহিনীর ভেতরকার এই বিভক্তি দেশকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  


### **গোলাগুলির খবর ও সেনাবাহিনীর নীরবতা**  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও ও প্রতিবেদন অনুসারে, রাজধানীসহ কয়েকটি ক্যান্টনমেন্টে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যদিও সরকার ও সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি, তবে রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।  


### **৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের গুঞ্জন**  

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সেনাবাহিনী প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলোর ওপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে, সর্বশেষ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর একটি অংশ সরাসরি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।  


বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর একটি অংশ শেখ হাসিনার ফেরার বিষয়ে আপসহীন অবস্থানে রয়েছে এবং তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। যদিও এই তথ্যের সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি, তবে সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।  


### **মিডিয়ার নীরবতা ও প্রচারের সীমাবদ্ধতা**  

দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংকট প্রকাশ্যে এলে জাতীয় নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই প্রচার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  


### **পরবর্তী পরিস্থিতি কী হতে পারে?**  

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য আরও বড় সংকট তৈরি করতে পারে। যদি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।  


এ বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য জানতে অপেক্ষা করতে হবে সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post