### **পাকিস্তানের সেনানিবাসে ভয়াবহ হামলা: ১২ জন নিহত, আহত ৩০**
**বান্নু, পাকিস্তান | ৭ মার্চ ২০২৫**
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর **বান্নুতে একটি সামরিক স্থাপনায় আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন**। নিহতদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। এ হামলায় সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি আশপাশের ভবন, মসজিদ ও বাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
#### **হামলার বিবরণ**
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, **হামলাকারীরা দুটি বিস্ফোরকভর্তি যানবাহন ব্যবহার করে সামরিক স্থাপনার প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে**। প্রথম বিস্ফোরণের পর, **পাঁচ থেকে ছয়জন সশস্ত্র হামলাকারী সেনানিবাসে প্রবেশের চেষ্টা করে, তবে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে তারা নিহত হয়**।
একজন সামরিক কর্মকর্তা জানান, **“প্রথম বিস্ফোরণের পরপরই সেনাবাহিনী সতর্ক হয়ে যায়। হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল সামরিক স্থাপনার ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো, কিন্তু তাদের প্রতিহত করা হয়েছে।”**
#### **আহতদের চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযান**
হামলার পরপরই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। **বান্নু জেলা হাসপাতালে গুরুতর আহত ৩০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে**। চিকিৎসকদের মতে, **অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে**।
একজন চিকিৎসক বলেন, **“আহতদের মধ্যে অনেকের শরীরে ছিন্নভিন্ন ক্ষত রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাদের বাঁচাতে।”**
#### **নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া**
এই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, **“সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”**
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, **“এই কাপুরুষোচিত হামলা প্রমাণ করে, পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা এর কঠোর জবাব দেব।”**
#### **হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ**
এখন পর্যন্ত **কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি**। তবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে, **সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি তালেবানের (TTP) কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা এই ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে**।
#### **উপসংহার**
বান্নু শহর ইতিপূর্বেও এমন হামলার শিকার হয়েছে, যা পাকিস্তানের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত দেয়। **এই হামলার পর সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং হামলাকারীদের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে**। এখন প্রশ্ন থেকে যায়—পাকিস্তান কি তার সন্ত্রাসবাদ দমন নীতিতে আরও কঠোর হবে, নাকি এই ধরনের হামলা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে?
---
**সূত্র:**
- [Reuters](https://www.reuters.com/world/asia-pacific/suicide-bombing-rips-through-security-installation-north-west-pakistan-police-2025-03-04/?utm_source=chatgpt.com)
- [AP News](https://apnews.com/article/10efba049007e483270ba1225973438e?utm_source=chatgpt.com)