## **জাতিসংঘের দাবি: শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র প্রকাশ করতে হবে**
**ঢাকা, ১৪ মার্চ ২০২৫:** বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে জাতিসংঘ নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। সংস্থাটি দাবি করেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ে, এবং সরকারিভাবে জানানো হয় যে তিনি পদ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কোনো দালিলিক প্রমাণ সামনে আসেনি। বরং, তিনি পদত্যাগ না করেই দেশ ছাড়েন এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
### **জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ ও শর্ত**
রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবেদনের ভিত্তিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ভারত ও চীনের সমর্থনের ফলে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নেয় যে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র আগামী ৭ দিনের মধ্যে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জমা দিতে হবে।
যদি বাংলাদেশ সরকার এই শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে—
1. **বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।**
2. **বাংলাদেশের অস্ত্র আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করা হতে পারে।**
3. **বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর অর্থায়নে কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে।**
### **বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া**
সরকার জাতিসংঘের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছে এবং বলেছে, “শেখ হাসিনার পদত্যাগ বাস্তবায়িত হয়েছে, তার দালিলিক প্রমাণের প্রয়োজন নেই।”
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো জাতিসংঘের দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ যদি সত্য হয়, তবে সেটির প্রমাণ জনগণের সামনে আনাই যুক্তিসঙ্গত।
### **সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা**
সেনাবাহিনী এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, জাতিসংঘের চাপ বাড়লে সেনাপ্রধান পরিস্থিতি সামলাতে নতুন কৌশল নিতে পারেন। যদি পদত্যাগপত্র প্রকাশ না করা হয়, তাহলে সেনাপ্রধান হয়তো ক্ষমতা গ্রহণ করে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ তৈরি করতে পারেন।
### **পরবর্তী পদক্ষেপ**
আগামী ৭ দিন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সরকার কি জাতিসংঘের দাবি মেনে নেবে, নাকি নতুন কোনো কৌশল অবলম্বন করবে—তা নিয়ে এখন চরম অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।