টাঙ্গাইলে সাবেক এমপির বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মারিয়াম মুকাদ্দাস গ্রেপ্তার

 ### **টাঙ্গাইলে সাবেক এমপির বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মারিয়াম মুকাদ্দাস গ্রেপ্তার**  


টাঙ্গাইলে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাড়ি দখল, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি (২৭) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  


#### **গ্রেপ্তারের সময় ও স্থান**  

রোববার (৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  


#### **আসামির পরিচয়**  

গ্রেপ্তারকৃত মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে। তবে তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের আকুর-টাকুরপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।  


#### **অভিযোগের বিবরণ**  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক পরিচয়ে মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে শহরের ছোটকালীবাড়িতে অবস্থিত জোয়াহেরুল ইসলামের ছয়তলা বাসভবনের তালা ভেঙে প্রায় ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালান।  


এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে, রাতেই যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বাড়িটি দখলমুক্ত করে এবং মিষ্টিকে পুলিশি হেফাজতে নেয়।  


#### **মামলা ও পুনরায় গ্রেপ্তার**  

প্রথমে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পেলেও, পরবর্তীতে সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই মিষ্টিকে ফের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  


#### **বাদীর বক্তব্য**  

মামলার বাদী রওশন আরা খান অভিযোগ করে বলেন,  


*"মিষ্টি প্রথমে আমার কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমার বাড়ি জবরদখল করে নেয়। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই, কারণ বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নয়।"*  


#### **পুলিশের বক্তব্য**  

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান,  


*"রোববার সাবেক সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা বাদী হয়ে মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"*  


#### **পূর্বের অভিযোগ ও প্রেক্ষাপট**  

এটি প্রথম নয়, এর আগেও মিষ্টির নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাসায় ভাঙচুর চালানো হয়েছিল।  


গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের বাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।  


#### **উপসংহার**  

সাবেক এমপির বাড়ি দখল, চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির গ্রেপ্তার নিয়ে টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলাটি আদালতে গড়ালে এর পরবর্তী আইনি কার্যক্রম কী হবে, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অপেক্ষায় রয়েছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post