চীনের সহায়তায় সামরিক শক্তি হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, মোদির উদ্বেগ তুঙ্গে

 

### **চীনের সহায়তায় সামরিক শক্তি হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, মোদির উদ্বেগ তুঙ্গে**  

**March 19, 2025**  

নয়াদিল্লিতে আজ টানটান উত্তেজনা। রাইসিনা হিলসের আলো গভীর রাতেও জ্বলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোয়েন্দা প্রতিবেদন হাতে নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল তার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর এই উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দু—বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি।  

প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-চীনের সামরিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ঢাকা এখন শুধু চীনের কাছ থেকে অস্ত্র আমদানি করছে না, বরং সামরিক প্রযুক্তিও পেয়ে যাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করবে।  

### **ঢাকায় সামরিক কৌশলের নতুন দিগন্ত**  

আজ সকালে ঢাকার সেনা সদর দপ্তরে বৈঠক বসে চীনের রাষ্ট্রদূত লি আয়নের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে। সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর আলোচনায় উঠে আসে সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে গুরুতর আলোচনা। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এই আলোচনা শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত পরিবর্তনের সূচনা।  

### **বাংলাদেশ-চীন সামরিক সম্পর্কের উন্নয়ন**  

২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তার মোট অস্ত্র আমদানির ৭২ শতাংশই চীন থেকে নিয়েছে, যা পাকিস্তানের পর সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু অস্ত্র কেনাবেচার বিষয় নয়—এটি সামরিক উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের সূচনা।  

চীন সাধারণত সামরিক প্রযুক্তি বিক্রিতে কঠোর শর্ত আরোপ করে, কিন্তু বাংলাদেশকে সেই শর্ত ছাড়াই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণেই ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে।  

### **দিল্লির দুশ্চিন্তার কারণ**  

ভারতীয় সেনাপ্রধান সম্প্রতি বলেছেন, “চীনের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটি ভারতের কৌশলগত স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।”  

পাকিস্তান ইতোমধ্যেই তার ৮১% সামরিক সরঞ্জাম চীনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে। এখন বাংলাদেশ যদি চীনের সহায়তায় নিজস্ব সামরিক উৎপাদন শুরু করে, তাহলে ভারতকে পূর্ব ও উত্তর সীমান্তে কৌশলগত চাপের মুখে পড়তে হবে।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আসছে। ভারত যেখানে এখনো বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বজায় রাখতে চায়, সেখানে ঢাকার ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা একটি নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতা তৈরি করতে পারে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা নীতিকে নতুন করে নির্ধারণে বাধ্য করবে।