### **শিরোনাম: গভীর রাতে গ্রেফতার আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথম বড় পদক্ষেপ**
**তারিখ: ১১ মে ২০২৫ | সময়: রাত ২:০০ | স্থান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা**
**প্রতিবেদক: বার্তা সংস্থা**
বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ঘটানো সদ্য অভ্যুত্থানের মাত্র ৩০ মিনিটের মাথায় গ্রেফতার করা হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সংবিধানবিদ ড. আসিফ নজরুলকে।
রাত ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন তার ধানমন্ডির বাসা থেকে সেনাবাহিনীর একটি সাদা রঙের বিশেষ অপারেশন টিম তাকে হেফাজতে নেয়। এলাকাজুড়ে তাৎক্ষণিক চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার সহধর্মিণী ও পরিবারের সদস্যরা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
### **গ্রেপ্তারের কারণ অজানা, তবে অনুমান স্পষ্ট**
সরকারি সূত্র এ বিষয়ে কিছু না বললেও অভ্যুত্থান-পরবর্তী পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ড. আসিফ নজরুল সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপকে “সংবিধান পরিপন্থী রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা” বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই বক্তব্যকেই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনী এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে—কোনো রকম আইনগত বা নীতিগত প্রতিবাদ সহ্য করা হবে না।
### **বিশ্ববিদ্যালয়মাঠে ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া**
গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কার্জন হল চত্বরে রাতের মধ্যেই শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হতে থাকে। তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং স্লোগান তোলে—"আইনের কণ্ঠরোধ চলবে না!" তবে সেনা টহলের কারণে পরিস্থিতি এখনও শান্ত।
### **সেনাবাহিনীর বিবৃতি**
সেনাবাহিনীর অস্থায়ী মুখপাত্র এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন:
> "জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারী কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। জনগণের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।"
---