### **শিরোনাম: উপদেষ্টা মাহফুজ আ*ত্মহত্যা করলেন — অপমান, চাপ ও ষড়যন্ত্রের চাপ সহ্য করতে না পেরে অবসান ঘটালেন নিজের জীবন**
**তারিখ: ১৫ মে ২০২৫ | সময়: রাত ২:১৫ | স্থান: ঢাকা**
**প্রতিবেদক: ঢাকা বার্তা সংস্থা**
গতকাল ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন **তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মাহফুজুল আলম**। আজ ভোররাতে তার ধানমন্ডির সরকারি বাসভবন থেকে **তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার** করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে।
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন......
### **চাপে ভেঙে পড়েছিলেন উপদেষ্টা**
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের সামনে গতকাল বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি **পানির বোতলের আঘাতে আহত হন** এবং তীব্র অপমানের শিকার হন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং নিন্দা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে ভরে ওঠে পুরো ইন্টারনেট।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর তিনি নিজেকে একাকী করে ফেলেছিলেন। খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেন, মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন এবং রাতে ঘুমাতে পারেননি।
একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জানান,
> “তিনি বলেছিলেন—‘আমি দেশের জন্য কাজ করতে গিয়েছিলাম, আজ অপমানিত হয়ে ফিরে এসেছি। এখন আর কিছু করার নেই।’”
### **চক্রান্তের অভিযোগ উঠছে**
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভ্যন্তরে একটি অংশ মনে করছে, এটি কেবল একটি মানসিক চাপের ফল নয়—বরং **একটি পরিকল্পিত সামাজিক হত্যার ঘটনা**।
জাতীয় নাগরিক পার্টির এক সিনিয়র নেতা দাবি করেন,
> “ডঃ মাহফুজকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করা হয়েছে। আন্দোলনের ভেতরে থাকা কিছু দুর্বৃত্ত তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এই অপমান ঘটিয়েছে।”
### **রাষ্ট্রপতির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন**
এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হলেও **রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনূস এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি**। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নীরবতাই প্রমাণ করে, সরকার অভ্যন্তরেই একটি ধ্বংসাত্মক বিভাজন কাজ করছে।
---
### **সামাজিক প্রতিক্রিয়া**
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই লিখেছেন,
> “আমরা একটি মননশীল, নীতিনিষ্ঠ মানুষকে হারালাম, কারণ আমরা সহানুভূতির বদলে ঘৃণা দিয়েছি।”
> অনেকে আবার এই মৃত্যুতে সরকারের দায়িত্ব নিরূপণের দাবি জানাচ্ছেন।
---
### **উপসংহার**
ডঃ মাহফুজের মৃত্যু কেবল একজন মানুষের জীবনাবসান নয়, বরং এটি একটি গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের প্রতিচ্ছবি। কেমন সমাজ গড়ে তুলছি আমরা—এই প্রশ্ন এখন নতুন করে সামনে আসছে।
---