ভোলায় বাস ও সিএনজি চালকদের সংঘর্ষ: আহত ৫০, আগুনে পুড়লো বাস ও সিএনজি

 


# **ভোলায় বাস ও সিএনজি চালকদের সংঘর্ষ: আহত ৫০, আগুনে পুড়লো বাস ও সিএনজি**  

**By অনলাইন ডেস্ক**  

**January 29, 2025 


ভোলায় বাস চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ২টি বাস ও ৫টি সিএনজিতে আগুন দেওয়া হয় এবং আরও ৭টি বাস ও ৫টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়।  


### **সংঘর্ষের সূত্রপাত**  

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে জেলা শহরের **বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে**। ঘটনার সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  


বাস মালিক সমিতি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাসস্ট্যান্ডটি ইজারা নেওয়ার পর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সিএনজি চালকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে। তবে সিএনজি চালকরা নির্দেশ অমান্য করায় বিকেলে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।  


### **গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও ভাঙচুর**  

সংঘর্ষ চলাকালীন ২টি বাস ও ৫টি সিএনজিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ৭টি বাস ও ৫টি সিএনজিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ইটপাটকেলের আঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হন।  


আহতদের মধ্যে **১২ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে** এবং তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য **বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে**।  


### **দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ**  

**বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সেলিম** অভিযোগ করেন, সিএনজি চালকরা অবৈধভাবে বাসস্ট্যান্ড দখল করে আছে এবং তারা বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।  


অন্যদিকে **সিএনজি চালকদের দাবি**, বাস মালিক সমিতি ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোক এনে তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে, এতে তাদের ৫টি সিএনজি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।  


### **আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান**  

**ভোলা সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মো. মামুন** জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছে।  


**ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার** বলেন, “পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংঘর্ষের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”  

Post a Comment

Previous Post Next Post