**সেনা অভ্যুত্থানের পথে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী**
**ঢাকা, ২০২৫:** বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আজ সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ রাজধানী ঢাকার গুলশানে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ ঘিরে ফেলে। সামরিক বাহিনীর এই অবস্থানকে ঘিরে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
### **সেনাবাহিনীর ‘যমুনা’ অবরোধ: কী ঘটছে?**
বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট রাতের অন্ধকারে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘিরে ফেলে। এই ইউনিটগুলোর মধ্যে স্পেশাল ফোর্স এবং সশস্ত্র সেনা সদস্যরাও রয়েছেন। তাদের হাতে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে এবং তারা প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এখনো পর্যন্ত জানা গেছে, বাসভবনের ভেতরে উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অবস্থান করছেন। তবে সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা শুরু করেছে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।
### **সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের কারণ কী?**
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অপহরণ, ডিজিএফআই-এর হেফাজতে থাকা কয়েকজন সেনা সদস্য এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই এই সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি অংশ বর্তমান প্রশাসনের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল এবং তারা এই ঘটনার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে চাইছে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছিল। ‘যমুনা’ ঘেরাওয়ের মাধ্যমে তারা হয়তো সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে।
### **রাজধানীতে আতঙ্ক ও টানটান উত্তেজনা**
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানী ঢাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে।
সামরিক বাহিনীর এই অবস্থানের পরপরই ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্কে বিঘ্ন ঘটতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়াতে থাকায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠছে।
### **সরকারের প্রতিক্রিয়া**
সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জরুরি বৈঠক চলছে।
এদিকে, ডিজিএফআই-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
### **আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ**
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
বিশ্বের বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে "বাংলাদেশের সম্ভাব্য সেনা অভ্যুত্থান" হিসেবে বর্ণনা করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দ্রুত পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
### **পরবর্তী পরিস্থিতি কী হতে পারে?**
বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর এই অবস্থান শুধু "ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন" করার একটি সংকেত হতে পারে, অথবা এটি একটি পূর্ণাঙ্গ অভ্যুত্থানের শুরু হতে পারে। যদি সেনাবাহিনী প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।
পরিস্থিতির উন্নতি হবে, নাকি আরও খারাপের দিকে যাবে—তা নির্ভর করছে সেনা নেতৃত্ব এবং সরকারের পদক্ষেপের ওপর। তবে আপাতত দেশজুড়ে অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
---
আমরা পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছি। যেকোনো নতুন আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।