**বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীর মাঠ সাদপন্থীদের কাছে হস্তান্তর**


 ### **বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীর মাঠ সাদপন্থীদের কাছে হস্তান্তর**  


**নিজস্ব প্রতিবেদক - টঙ্গী, গাজীপুর**  

**প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫**  


গাজীপুর জেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীর মাঠ সাদপন্থীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। রবিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ওয়াহিদ হোসেন এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।  


বিশ্ব ইজতেমার মাঠের মেরামত ও প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পর সাদপন্থীরা আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের ধর্মীয় সমাবেশ পরিচালনা করবেন। মাঠ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাদপন্থীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম।  


### **শুরায়ে নেজামের মাঠ হস্তান্তর ও প্রশাসনের ভূমিকা**  

তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজামপন্থীরা দুই ধাপে টানা ছয় দিন ইজতেমা শেষ করে ৬ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে মাঠ হস্তান্তর করেন। তিন দিন পর, ৯ ফেব্রুয়ারি, জেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে এটি সাদপন্থীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়।  


মাঠ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।  


### **সাদপন্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব**  

সাদপন্থী তথা নিজাম উদ্দিন অনুসারীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহ মোহাম্মদ মুহিববুল্লাহ, ডক্টর রেজাউল করিম, ডক্টর আব্দুস সালাম, মনির হোসেন, আব্দুল হান্নান, বশির আহমেদ সিকদার, হারুন অর রশিদ, সিরাজ শিকদার, আসাদুল্লাহ, মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন, মোহাম্মদ আসলাম, মোহাম্মদ হোসেন এবং মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম।  


### **সংঘর্ষ ও রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ**  

তাবলীগ জামাতের বিভক্ত দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্বের সংঘর্ষের কারণে ইজতেমার আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ১৮ ডিসেম্বর ভোররাতে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। শুরায়ে নেজামপন্থীরা সাদপন্থীদের জোড় ইজতেমা করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।  


পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সমঝোতা হয় এবং সাদপন্থীদের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।  


### **সমাপ্তি**  

বিশ্ব ইজতেমার সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post