### **ব্রেকিং নিউজ: সেনানিবাসে হিযবুত তাহরীরের হামলা, নিহত ২ সেনাসদস্য**
**ঢাকা | ৭ মার্চ ২০২৫**
রাজধানীর এক গুরুত্বপূর্ণ সেনানিবাসে নিষিদ্ধ সংগঠন **হিযবুত তাহরীরের** সদস্যরা আজ রাতে একটি সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত **২ জন সেনাসদস্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন**। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং পুরো এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
#### **হামলার ধরন ও সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া**
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, **হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা সামরিক পোশাক পরে সেনানিবাসে প্রবেশ করে এবং অতর্কিতে হামলা চালায়**। তারা আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে হামলাটি সংগঠিত করে। সেনাসদস্যরা দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তুললে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যা প্রায় **৩০ মিনিট ধরে চলে**।
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, **“আমরা হামলাকারীদের প্রতিহত করেছি এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তবে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।”**
#### **নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার**
এই হামলার পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব এবং পুলিশের বিশেষ টিম সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় **তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে**।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সেনাপ্রধান **সকল সামরিক ঘাঁটিতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন**।
#### **হিযবুত তাহরীরের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা**
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন **হিযবুত তাহরীর** দীর্ঘদিন ধরেই **গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে**। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগে থেকেই আশঙ্কা করছিল যে, তারা বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে।
একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক জানিয়েছেন, **“এই হামলার মাধ্যমে হিযবুত তাহরীর প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, তারা এখনও সক্রিয়। তবে সেনাবাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের কারণে তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।”**
#### **পরবর্তী পদক্ষেপ কী?**
সরকার ইতোমধ্যে **হিযবুত তাহরীরকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার জন্য কঠোর অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে**। বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্য আস্তানায় অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে, দেশের জনগণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এবং অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, **এটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পূর্বাভাস হতে পারে**।
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, কাদের মদদ রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে তৎপর রয়েছে। **সেনানিবাসে হামলার ঘটনায় আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।**
---