প্রতিবেদন: ফ্রান্সের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় মারা গেলেন পিনাকী ভট্টাচার্য

 


*প্রতিবেদন: ফ্রান্সের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় মারা গেলেন পিনাকী ভট্টাচার্য**  

**প্যারিস:** বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট **পিনাকী ভট্টাচার্য** ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে **ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন** এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। গতকাল  প্যারিসের একটি হাসপাতালে তার জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়, কিন্তু তা সফল হয়নি।  


### **অস্ত্রোপচারের সময় যা ঘটেছিল**  


স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় **প্যারিসের স্যালপেট্রিয়ের হাসপাতাল**-এ তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি মূলত তার পুরনো শারীরিক সমস্যার সমাধানের জন্য করা হচ্ছিল। অস্ত্রোপচারের একপর্যায়ে তার শরীর গুরুতর জটিলতার সম্মুখীন হয় এবং রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।  


প্রধান সার্জন **ড. জ্যঁ-মিশেল দ্যুপন্ট** এক বিবৃতিতে বলেন,  


*"অস্ত্রোপচার জটিল হলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু হৃদযন্ত্রের হঠাৎ কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।"*  


### **বাংলাদেশজুড়ে শোকের ছায়া**  


তার মৃত্যুর খবরে বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতিবিদ, লেখক এবং সাধারণ মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।  


### **প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের শোকবার্তা**  


বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা **ড. মুহাম্মদ ইউনুস** এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,  

*"পিনাকী ভট্টাচার্য মুক্তচিন্তার এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। তার লেখনী এবং সমাজবিষয়ক বিশ্লেষণ আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তার মৃত্যু একটি শূন্যতা সৃষ্টি করলো, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।"*  

### **পরিবারের প্রতিক্রিয়া**  


তার ছেলে **অর্ণব ভট্টাচার্য** প্যারিস থেকে এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেন,  


*"বাবা ছিলেন সত্যের অনুসারী। তিনি সব সময় ন্যায়ের পক্ষে থেকেছেন এবং তার আদর্শ আমরা বয়ে নিয়ে যাব।"*  

### **শেষ কথা**  


পিনাকী ভট্টাচার্যের জীবন ছিল **সংগ্রাম, লেখনী ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি**। তার মৃত্যু শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং এটি **বাংলাদেশের মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করলো**। তবে তার 

লেখা ও চিন্তাধারা বহু প্রজন্ম ধরে আলোড়িত করবে।  




Post a Comment

Previous Post Next Post