**বাংলাদেশ সীমান্তে আইএসআই ও জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে: উদ্বেগ প্রকাশ সেনাপ্রধানের**
**ডিএম নিউজ ডেস্ক | ১ মে ২০২৫ |**
**নয়াদিল্লি:**
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর, পাকিস্তানের পাশাপাশি এবার বাংলাদেশকেও পরোক্ষভাবে অভিযুক্ত করছে ভারতের কিছু রাজনীতিক ও প্রভাবশালী গণমাধ্যম। সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে এই সন্দেহ আরও জোরদার হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, “পাকিস্তানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশে আইএসআই-এর যোগাযোগ ও তৎপরতা বাড়ছে।” এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান এলাকায় সাম্প্রতিক অস্থিরতার জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
**সীমান্তে কড়া নজরদারি ও প্রস্তুতি**
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-সংলগ্ন পাঁচটি রাজ্যে ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে ভারত কৌশলগতভাবে সেনা মোতায়েন ও নজরদারি জোরদার করেছে। বিএসএফ-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনী, স্থাপন করা হয়েছে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও স্ট্যান্ডবাই যুদ্ধবিমান।
**রাফাল যুদ্ধবিমান ও সামরিক চুক্তি**
হাসিমারা ও বাগডোগরা বিমান ঘাঁটির সক্ষমতা বাড়াতে ভারত ইতোমধ্যে ৩৬টি রাফালের পাশাপাশি অতিরিক্ত ২৬টি রাফাল কেনার জন্য ২৮ এপ্রিল ফ্রান্সের সঙ্গে নতুন সামরিক চুক্তি করেছে। এর ফলে শিলিগুড়ির আকাশে রাফালের গর্জন এখন প্রায় প্রতিদিনের দৃশ্য।
**নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারি প্রযুক্তি**
সীমান্তের অরক্ষিত ৩১৮০ কিলোমিটার অংশে বসানো হয়েছে নাইটভিশন ক্যামেরা, উন্নত সিসিটিভি এবং ড্রোন। সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে আধাসামরিক বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম। সেনাবাহিনী শুরু করেছে কৌশলগত মহড়া, গোয়েন্দা অনুসন্ধান এবং অবকাঠামো পুনর্বিন্যাস।
**শিলিগুড়ি করিডোরে বাড়ছে চাপ**
‘চিকেন নেক’ নামে পরিচিত ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত রাখে। বাংলাদেশ ও নেপালের মাঝে মাত্র ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডোরে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে আসাম, ত্রিপুরা, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশ।
ফলে এই অঞ্চল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলসের মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক মহলে এই করিডোর এখন বিশেষ নজরদারির আওতায়।
